Wednesday, July 19, 2017

নারী নির্যাতন ধর্ষণের শিকার রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা ।।

Image result for নারী নির্যাতন ধর্ষণের শিকার রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা ।।
নারী নির্যাতন, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গ্রামবাসীরা বৃহস্পতিবার এক নারীকে নির্যাতন করে এবং তার চুল মুহুর্তের মধ্যে কেটে দেয় এবং পরে তিনি একটি বালক দ্বারা ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

শিকার, দুই সন্তানের মা, 18 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের মামলা দায়ের। পুলিশ ইতিমধ্যে চার আসামিদের গ্রেফতার করেছে।

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামদারপুর ইউনিয়নের ২7 বছর বয়সী হিন্দু মহিলা মোস্তফাপুর গ্রামের অধিবাসী। একটি ইটের ফ্যাক্টর শ্রমিকের স্ত্রী, তিনি তার গ্রামের লাল স্পিনকে সংগ্রহ করে চম্পাতোলি বাজারে বিক্রি করে তার পরিবারকে চালান ।

তার মতে, একই গ্রামের খাদুদুল ইসলামের ছেলে মমিনুল হক (30) কয়েকদিন ধরে তাকে অনুসরণ করে চলেছেন। তিনি প্রায়ই বাজারে তার পথে তার হয়রানি করেন।

বৃহস্পতিবার, মমিনুল কোনও নারী উপস্থিত ছিলেন না এবং তার উপর ধর্ষণের চেষ্টা করার সময় মহিলার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তবে, গ্রামবাসীকে তার ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্যের জন্য তার কণ্ঠস্বর এবং মমিনুল দৃশ্য দেখে তখনকার মত পালিয়ে যায়। 

তারপর গ্রামবাসীরা তার উপর খেপে যায়। তারা তাকে একটি 'চরিত্রহীন নারী' বলে ডাকে এবং মারাত্মকভাবে তাকে মারধর করে এবং সে যে কাপড় পরাছিল সেগুলোও ছিঁড়ে ফেলল। তারা তাদের চুল কাটা বন্ধ এবং যে সীমান্তবর্তী হিন্দু বিবাহিত নারী তাদের চুল বিচ্ছেদ পর পর wiping যে কার্যকরী বন্ধ না।

শিকারের মতে গ্রামবাসী ও মমিনুল হক এখনো তার বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছে।

তিনি মমিনুলের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, "আমি আক্রমণের সময় তাদের করুণা দেখিয়েছিলাম কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। এখন তারা আমাকে দোষ দিচ্ছে এবং আমার চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করছে "।

দাইদাদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান উদ্দিন জানান, মামলার প্রধান আসামি হিসেবে মামুনুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন।

পুলিশ এখন পর্যন্ত কিশোরী মোহন (60) ও তার স্ত্রী সুজো বাল (50) ও মোলিন চন্দ্র রায় (40) ও তার স্ত্রী জোটিকা রানী রায় (32) গ্রেফতার হয়েছে।

তারা মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।

Monday, July 17, 2017

মেকআপ এর আগে ও পরে কি করা উচিত ।।

মেকআপ এর আগে ও পরে কি করা উচিত  ।।

Image result for Makeup এর আগে যা করবেন


Makeup এর আগে যা করবেন:

ত্বক তৈলাক্ত হলে মেকআপ(Makeup করার আগে কিছু যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে ভারী মেকআপ(Makeup) নিতে চাইলে। 

১) দুই চা-চামচ মসুর ডালের গুঁড়া সামান্য পানি ও পাঁচ ফোঁটা লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এটা স্ক্রাবিংয়ের কাজ করবে। তবে সাধারণ ত্বক হলে লেবুর বদলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

২) এরপর মুখ ভালো করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ত্বকের উপযোগী উপটান লাগান।
উপটান শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে নিন এবং টোনার হিসেবে শসার রস পাঁচ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন।

৩) এবার বরফ টুকরো করে মুখের ওপর ভালোমতো ঘষুন। এটি করতে সমস্যা হলে একটা ছোট তোয়ালে মুখের ওপর রেখে তার ওপর দিয়ে পুরো মুখে এক বা দুই টুকরো বরফ ঘষুন।

৪) মুখ ভালো করে মুছে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার হালকা করে লাগান। এবার ত্বক মেMakeup এর জন্য প্রস্তুত। মেকআপের আগে এটা করতে পারলে Makeup অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয়।

মেকআপের পরে যা করতে হবেঃ

মেকআপ ভালো করে তুলতে না পারলে র‌্যাশ বা ব্রণ হয়। সাধারণত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলেও ভালো করে ত্বক পরিষ্কার হয় না।

মেকআপ(Makeup) তোলার কয়েকটি ধাপ-

১) অলিভ অয়েল হচ্ছে সবচেয়ে ভালো Makeup রিমুভার। নারিকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন। তুলা দিয়ে ছোট করে বল বানিয়ে তাতে তেল দিয়ে যেখানে মেকআপ(Makeup করেছেন সেসব জায়গায় লাগিয়ে Makeup তুলুন।

২) চোখের মাশকারা ও আইলাইনার আস্তে আস্তে তুলুন। প্রয়োজনে তুলা কয়েকবার পরিবর্তন করুন। এরপর খুব অল্প পরিমাণ ফেসওয়াশ নিয়ে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন। খুব বেশি ফেনা করার প্রয়োজন নেই।

৩) মেকআপ(Makeup) তোলার পর ত্বকে টোনার লাগানো জরুরি। টোনার ব্যবহারের সময় লক্ষ রাখবেন সেটি যেন ত্বকের উপযোগী হয়। বিশেষত যাঁদের শুষ্ক ত্বক, তাঁদের জন্য টোনার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাতের কাছে টোনার না থাকলে শসার রসে মধু মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।

৪) এবার চোখের চারপাশে আইক্রিম ম্যাসাজ করে নিন। চোখের চারপাশের ত্বকে কালো ছোপ ও ভাঁজ পড়া থেকে ত্বককে রক্ষা করবে।

৫) সবশেষে আপনার মুখে ত্বকের উপযোগী ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ম্যাসাজ করুন।

মেকআপের আগে ও পরে ?

এছাড়াও , প্রাকৃতিক ভাবে Makeup এর আগে ও পরেঘরোয়া জিনিস দিয়েও Makeup তুলতে পারেন।

১) দুধ
কয়েক ফোঁটা দুধ নিয়ে আলতো করে মুখে মেখে নিতে পারেন। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন, যাতে লোমকূপে মেকআপ(Makeup) আটকে না থাকে।

২) জলপাই তেল
তুলায় দুই চা-চামচ জলপাইয়ের তেল নিয়ে ধীরে ধীরে চোখের পাতাটি মুছে নিন। তিন মিনিট অপেক্ষা করুন, যাতে চোখের কাজল ও মাশকারা ধীরে ধীরে উঠে যায়।
৩) কলা
মেকআপ(Makeup) তোলার পর ত্বক সতেজ ও কোমল করে তুলতে পাকা কলা চটকে ও কয়েক ফোঁটা দুধ মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪) শসা
পানিতে ১০ মিনিট সিদ্ধ করে শসাটি ভর্তা করে নিন। এবার আধা গ্লাস দুধের সঙ্গে শসা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার তুলায় নিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। শসার এই মিশ্রণ এক সপ্তাহের মতো সংরক্ষণ করা যায়।

৫) লেবুর রস
কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সঙ্গে এক চা-চামচ আলুর রস মেশান। এবার মিশ্রণটি তুলায় লাগিয়ে মুখ মুছে নিন। শেষে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। লেবুর রস মেকআপ(Makeup) তোলা ও চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করার উপায় ।।

প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করার উপায় ।।

Related image

ক্লিনজিং
ত্বকের(Skin) লোমকূপের মুখ খুলে পরিস্কার করতে ক্লিনজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসওয়াশ অথবা ক্লিনজিং মিল্ক মুখে মেখে তুলা দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বক(Skin) এর তেলতেলে ভাব অনেকটা কেটে যাবে।

লেবুর রস
লেবুর সাইট্রিক এসিড ত্বকে(Skin) এর অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে। বাইরে থেকে বাসায় ফিরে সামান্য লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে মুখে হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
ডিম
প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ত্বক( Skin) এর জন্য ডিম বেশ কার্যকরী। ডিমের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর ধুয়ে ফেলুন। ধীরে ধীরে ত্বক(Skin) এর তেলতেলে ভাব কমে যাবে।
টমেটো
টমেটো ত্বক(Skin) এর বাড়তি তেল দূর করার জন্য বেশ কার্যকরী। টমেটো চটকে নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ত্বকে টানটান ভাব চলে আসবে এবং তেলতেলে ভাব দূর হবে। এভাবে নিয়মিত চর্চা রাখলে ত্বকের(Skin) তেলতেলে ভাব দূর হবে আর আপনাকে দেখাবে প্রাণবন্ত।

Sunday, July 16, 2017

জেনে নিন, আমাদের সমাজে প্রচলিত রোগের গুজব বা কুসংস্কার ।।

জেনে নিন, আমাদের সমাজে প্রচলিত রোগের গুজব বা কুসংস্কার ।।

অনেক ধরণের গুজব বা কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, যেগুলোর কোনো ভিত্তি বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।


১. গুজব বা কুসংস্কারঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ!

নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়!



২. গুজব বা কুসংস্কারঃ ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ!!

নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হল- এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায়না!



৩.গুজব বা কুসংস্কারঃ  ঘাড়ে ব্যথা মানেই প্রেসার!

নির্ভুলঃ প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ পাওয়া যায় না! একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।



৪. গুজব বা কুসংস্কারঃ বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ!

নির্ভুলঃ হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না। হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়... হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে!!



৫. গুজব বা কুসংস্কারঃ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।

নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হবার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।



৬. গুজব বা কুসংস্কারঃ প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।

নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।



৭. গুজব বা কুসংস্কারঃ এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাকালীন বেবির (৬মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না একারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই বেবিরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।

নির্ভুলঃ মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না... বেবিকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।



৮. গুজব বা কুসংস্কারঃ দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।

নির্ভুলঃ দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।



৯. গুজব বা কুসংস্কারঃ মাস্টারবেশন করলে চোখের জ্যোতি কমে যায়!

নির্ভুলঃ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার না খেলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।


১০. গুজব বা কুসংস্কারঃ টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরীতে শুকায়।

নির্ভুলঃ টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।



১১. গুজব বা কুসংস্কারঃ অস্বাভাবিক আচরন, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভুতে ধরা!!!

নির্ভুলঃ এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।



১২. গুজব বা কুসংস্কারঃ তালু কাটা, এক চোখ, কপালে চোখ, বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম গ্রহন করা বাচ্চা কিয়ামতের আলামত, আল্লাহর গজব, বাঘের বাচ্চা।

নির্ভুলঃ মানুষের পেট থেকে বাঘের বাচ্চা হয় না আর কিয়ামতের আলামত বা গজব বাচ্চাদের উপর আসে না। এসব জিনগত রোগ বা জন্মগত রোগ।



১৩.গুজব বা কুসংস্কারঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। তাই গাইনী ডাক্তার সিজার করার জন্য এগুলা প্রেসক্রাইব করে....

নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ বেবির নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।



১৪. গুজব বা কুসংস্কারঃ প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।

নির্ভুলঃ White discharge এবং Amniotic fluid সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড.. একটার সাথে আর একটার কোনো সম্পর্ক নেই।


১৫. গুজব বা কুসংস্কারঃ বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।

নির্ভুলঃ বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।।

                                       __________________________________________
সৌজন্যেঃ ডাক্তার তানিয়া সুলতানা

Saturday, July 15, 2017

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কবে ?

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কবে ?




দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে। আজ শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ১৪ অক্টোবর, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ অক্টোবর, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ নভেম্বর, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ অক্টোবর এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা হবে। 
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ নভেম্বর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ ডিসেম্বর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ নভেম্বর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ নভেম্বর ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে। 
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ থেকে ৮ নভেম্বর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ নভেম্বর, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ ও ১০ নভেম্বর, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ অক্টোবর, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ ও ২১ ডিসেম্বর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ ও ৪ নভেম্বর এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী মার্চের চতুর্থ সপ্তাহে ভর্তি পরীক্ষা হবে। 
সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ থেকে ১৮ অক্টোবর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ থেকে ২৬ অক্টোবর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ থেকে ৩০ অক্টোবর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ থেকে ২৯ নভেম্বর, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ নভেম্বর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ ডিসেম্বর এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে ৫ নভেম্বর। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২৪ আগস্ট থেকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আলোচনা করে তারিখ ঠিক করবে। কারণ, এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হয়ে থাকে একই দিনে সকাল-বিকেল। 
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. হারুনর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন।

sources from: //www.prothom-alo.com

মশা মারবে গুগল-মাইক্রোসফট!

মশা মারবে গুগল-মাইক্রোসফট!


দুনিয়াজুড়ে মশাবাহিত ভয়ংকর রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এ কারণে এবার মশা মারতে বিশ্বের নামকরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট করপোরেশন ও গুগল যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল বুধবার মাইক্রোসফট, গুগল ও ক্যালিফোর্নিয়ার লাইফ সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠান ভেরিলি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। উচ্চ প্রযুক্তির অটোমেশন ও রোবোটিকস ব্যবহার করে জিকা-ভাইরাসসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেবে এ প্রতিষ্ঠানগুলো। আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথভাবে তারা উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, জিকা ভাইরাসটি এডিস ইজিপটি মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এ ভাইরাস গর্ভের সন্তানের ওপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে জন্মের পর ওই শিশুর বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ কারণে টেক্সাসের হিউসটন ও হ্যারিস কাউন্টিতে মাইক্রোসফট ১০টি আধুনিক ফাঁদ বা জালের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। ওই জাল দিয়েই আটকে ফেলা হবে জিকা ভাইরাসবাহী এডিস ইজিপটি মশাকে।
যন্ত্রটির নির্মাতা মাইক্রোসফটের প্রকৌশলী ইথান জ্যাকসন বলেন, হিউসটনে পরীক্ষা চালানো ফাঁদটি এডিস ইজিপটি মশাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর মশা আটক করার ক্ষেত্রে ৮৫ শতাংশই সঠিক।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনন্দশঙ্কর রায় বলেন, মশা মারতে প্রযুক্তিবিষয়ক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসাটা আনন্দের সংবাদ।

sources from: //www.prothom-alo.com

২০৬২ সালের মধ্যেই মঙ্গলে শহর প্রতিষ্ঠা

২০৬২ সালের মধ্যেই মঙ্গলে শহর প্রতিষ্ঠা




মঙ্গল গ্রহে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে একটা আস্ত শহর গড়ে উঠতে পারে। পৃথিবীর মানুষের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করতেই এমন উদ্যোগ অপরিহার্য। মার্কিন ধনকুবের ও প্রযুক্তিবিদ এলন মাস্ক এ কথা বলেছেন।
নন্দিত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সম্প্রতি বলেছেন ‘মহাবিপর্যয়’ এড়াতে পৃথিবীর বাইরে কোথাও বসবাসের চেষ্টা করার সময় মানুষের এসে গেছে। নভোযান নির্মাতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা মাস্কের বক্তব্যেও একই প্রতিধ্বনি: একাধিক গ্রহে যাতায়াত ও বসবাসের সামর্থ্য অর্জন করতে না পারলে মানুষ একটা পর্যায়ে মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়বেই।
নিউ স্পেস সাময়িকীতে মাস্ক এক নিবন্ধে নিজের স্বপ্নের কথা লিখেছেন এভাবে: ‘লাল গ্রহে’ মানুষের আবাস গড়ার জন্য হাজারখানেক নভোযানের সমন্বয়ে যাত্রা করতে হবে। এভাবে বেশ কয়েকটি যাত্রার মাধ্যমে ৪০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে লাখ দশেক মানুষকে মঙ্গলের বুকে পৌঁছে দিতে হবে। পৃথিবীর বাইরে মানুষের প্রথম বসতি স্থাপনের জন্য মঙ্গল গ্রহই সবচেয়ে ভালো জায়গা হতে পারে। সেখানকার পরিবেশ কিঞ্চিৎ শীতল হলেও মানুষ নিশ্চয়ই সেটাকে উষ্ণ করে তুলতে পারবে। গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে প্রথমত কার্বন ডাই-অক্সাইডের সঙ্গে কিছু নাইট্রোজেন, আর্গন ও আরও কয়েকটি উপাদান সামান্য পরিমাণে আছে। তার মানে ওই আবহ মণ্ডলকে ঘনীভূত করে উদ্ভিদ জন্মানোর সুযোগ থাকবে। সেখানকার মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর অভিকর্ষের ৩৭ শতাংশ। কাজেই ভারী জিনিসপত্র সেখানে নিয়ে বসানোর কাজটা মজারই হবে। পৃথিবী ও মঙ্গলের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে মিল আছে। লাল গ্রহটিকে উষ্ণ করতে পারলেই সেখানকার ঘন বায়ুমণ্ডল এবং মহাসাগরের তরল পানি ফিরে আসবে।
নিউ স্পেস লিখেছে, মঙ্গলে মানুষবাহী প্রথম নভোযান ২০২২ সালের শেষ দিকে যাত্রা করতে পারে। আর ওই গ্রহে নগর প্রতিষ্ঠার কাজটা ২০৬২ সাল নাগাদ সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।


sources from: //www.prothom-alo.com

Eid Natok 2017

Eid Natok 2017

বাংলা ঈদ নাটক-Bangla Eid Natok icon


"Valentines Gift" Eid Natok 2017 Ft. Jovan & Safa (HD Official Master Copy)


Eid Natok 2017 - যমজ ৭ ft Mosharraf Karim [HD]



Issue ( ইস্যু ) | Mosharraf Karim | Tanjin Tisha | Bangla Funny Eid Natok 2017 | Channeli TV



Eid Natok 2017 | Life is Colourful by Mosharraf Karim & Vabna


Eid Telefilm Mannequin Mumu | Tahsan, Momo by Shihab Shaheen


Jatona । Chanchal Chowdhury । Urmila Srabonti Kar। Bangla Eid Natok 2017 । Channel i TV





Eid Telefilm : Batch 27 | Apurba, Mithila, Aparna by Mizanur Rahman Aryan



Nishi Kutum | Tisha | Iresh Zaker | Kayesh Chowdhury | Mousumi | Bangla New Eid Natok 2017 | Full HD


Eid Special Comedy Natok | Bulir Belkuni | Mosharraf Korim, Sharlin, Jhuna | Eid Natok 2017


Abaro | Eid Special Drama | Tahsan | Nadia | Bangla Natok


Priyontir Jonno Ektu Bhalobasha | Allen Shuvro | Eid Natok 2017 | Channeli TV


Eid Natok 2017 Average Aslam Is not A Bachelor Part 06 Ft Mosharrof Karim


Eid New Natok 2017 _ Porokia ft Sarika HD _ sarika new natok


Sorol Prem | Mir Sabbir | Ahona | Kochi Khondokar | Sumona | Bangla New Eid Natok 2017 | FULL HD


Eid Natok 2017 | Harmonika by Sumaiya Shimu, Sajal, Abul Hayat


Radhuni | Eid Special Drama | Nisho | Tisha | Bangla Natok


Monday, July 10, 2017

কক্সবাজার জেলার পর্যটন অঞ্চল গাইডলাইন : কিভাবে যাবেন কোথায় থাকবেন কি খাবেন ।

কক্সবাজার জেলার পর্যটন অঞ্চল/দর্শনীয় স্থান, কিভাবে যাবেন কোথায় থাকবেন কি খাবেন ।

কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্হিত একটি পর্যটন শহর। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশান। 

Related image
কক্সবাজার
কক্সবাজার চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৫২ কিঃমিঃ দক্ষিণে অবস্হিত। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪১৪ কি.মি.। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র। দেশের রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে এবং বাসযোগে কক্সবাজার যাওয়া যায়।চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার অবধি রেললাইন স্থাপনের প্রকল্প গৃহীত হয়েছে।
Image result for কক্সবাজার
কক্সবাজার


যা  ঘুরে দেখবেনঃ

রামু বৌদ্ধ বিহার


রামুর (Ramu) এই বৌদ্ধ ঐতিহ্য অতীতকাল থেকে গৌরবময় সাক্ষ্য বহন করে আসছে। এখানকার বৌদ্ধবিহার ও প্রত্নতাতিত্ত্বক নিদর্শন পরিদর্শনে সারা বছর দেশি-বিদেশি পর্যটকের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। আর পর্যটন নগরী হওয়ায় পর্যটকদের কাছে এগুলোর আকর্ষণ অনেক বেশি। রামকোট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার চৌমুহনী স্টেশন ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে, রাজারকুল এলাকায় পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত।

Image result for রামু বৌদ্ধ বিহার
রামু বৌদ্ধ বিহার

কীভাবে যাবেন রামুর বৌদ্ধ বিহারে ?


কক্সবাজার শহর থেকে ট্যাক্সি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা বা টমটম নিয়ে যেতে পারেন বৌদ্ধ বিহারে। ভাড়া হবে জনপ্রতি ৪০ টাকা। আর রিজার্ভ গেলে ভাড়া পড়বে ২০০-২৫০ টাকা।

কোথায় থাকবেন ?

আপনাকে থাকতে হবে কক্সবাজারের কোন একটি হোটেলে কক্সবাজারে রয়েছে পর্যটকের জন্য সাড়ে ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ।  ঢাকা থেকেই ফোন দিয়েই বুকিং দিতে পারেন।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত মোটেল শৈবাল (ফোন -০৩৪১-৬৩২৭৪)
তারকা মানের সিগাল হোটেল (ফোন নং-০৩৪১-৬২৪৮০-৯১)
হোটেল সি-প্যালেস    (ফান নং-০৩৪১-৬৩৬৯২, ৬৩৭৯২, ৬৩৭৯৪, ৬৩৮২৬)
হোটেল সি-ক্রাউন (০৩৪১-৬৪৭৯৫, ০৩৪১-৬৪৪৭৪, ০১৮১৭ ০৮৯৪২০)
হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল (০৩৪১-৬২৮৮১-৮৫     ৬২৮৮১-৮৫)
হোটেল ওসান প্যরাডাইস লি. (০১৯৩৮৮৪৬৭৫৩) উল্লেখ্যযোগ্য।

এখানে এক রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা দামের কক্ষ। যারা থাকার জন্য এত খরচ করতে চাচ্ছেননা, তাদের জন্য কমমূল্যে থাকার হোটেলও রয়েছে। হোটের সীগালের পিছনে রোডে অর্থাৎ কলাতলি রোডের হোটেলগুলোতে মাত্র ৫০০ টাকাতেও থাকা যায়।

শামলাপুর সমুদ্র সৈকত

টেকনাফের কাছে বাহারছড়া ইউনিয়নের পাশের শামলাপুর সমুদ্র সৈকত। মাছধরার নৌকা আর জেলেরা ছাড়া সেই ভাবে কোনো মানুষজন চোখে পড়বে না, ঝাউবনে পাওয়া যাবে সবুজ ছোঁয়া। কেউ কেউ একে বাহারছড়া সমুদ্র সৈকত নামেও ডেকে থাকে। এখানকার দৃষ্টি নন্দন ঝাউবনে ঘেরা অপরূপে শোভিত নির্জন সৈকতে এসে ভালো লাগার ১৬ আনাই পাবেন!
এখানে নির্জনতাও একটা বড় ব্যাপার। কক্সবাজার হিমছড়ি বা ইনানীতে কত মানুষের ভীড়। আর হৈহুল্লোড়। এখানে তার কিছুই নেই।
পড়ন্ত বেলায় মাছ ধরার ট্রলারগুলো টেনে তীরে তোলার দৃশ্য, জেলেদের জাল দিয়ে মাছ ধরা, স্থানীয় শিশুদের চিৎকার আর  দৌড়ঝাঁপের মধ্যে চোখে পড়বে শুধুই সমুদ্র আর তার নীল জলরাশির শোঁ শোঁ গর্জন।

Image result for শামলাপুর সমুদ্র সৈকত
শামলাপুর সমুদ্র সৈকত

কিভাবে যাবেন ?
কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে সোজা ঘণ্টা দুয়েক গেলেই শামলাপুর বা বাহারছড়া সমুদ্র সৈকতের দেখা মিলবে।
টেকনাফ থেকেও যেতে পারেন। টেকনাফ থেকে হোয়াইক্যং রোড ধরে ২০ কিলোমিটার দূরত্বে শামলাপুর। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য হোয়াইক্যং রোড ধরে শামলাপুর পর্যন্ত পথটুকু দারুণ উপভোগ্য হবে নিঃসন্দেহে। সে জন্য আপনাদের টেকনাফের বাসে চড়ে টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যং রোড নামতে হবে। তারপর ধমধমিয়া হয়ে চলে যেতে হবে শামলাপুর সমুদ্র সৈকত। সিএনজি চালিত অটো রিক্সা বা ব্যাটারি চালিত অটো বাহনই হোয়াইক্যং রোড থেকে শামলাপুর পর্যন্ত একমাত্র ভরসা।

থাকা খাওয়া ?
শামলাপুর এ থাকা খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। কক্সবাজার বা ইনানি একমাত্র ভরসা। তবে চলতি পথে ছোটখাটো কিছু বাজার ও দোকানের দেখা পাবেন। সেখানেই সারতে পারবেন প্রযোজনীয় কাজ।

মারমেইড ইকো রিসোর্ট

ইনানীর কাছে পেঁচারদিয়া গ্রামে গড়ে উঠেছে কক্সবাজার ভ্রমণকারীদের বড় আকর্ষণ পেঁচার দ্বীপ। এক পাশে ঝাউবনসমৃদ্ধ সমুদ্রসৈকত, অন্য পাশে উঁচু পাহাড়। মধ্যভাগ দিয়ে সুদূর টেকনাফ পর্যন্ত চলে গেছে প্রায় ৮৪ কিলোমিটারের কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক। সড়কের পশ্চিম পাশে (রেজু খালের পাশ ঘেঁষে) নির্জন দ্বীপ পেঁচারদিয়া গ্রাম। এটিই ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এক স্বর্গের নাম পেঁচার দ্বীপ। সেখানে আপনি থাকবেন সম্পূর্ণ কোলাহলমুক্ত। যেখানে কাকপক্ষীটিও জ্বালাতন করতে আসবে না আপনাকে। কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সোজা রেজুব্রিজের কাছেই মারমেইড ইকো রিসোর্ট। রাস্তার ওপর থেকে তাকালে গাছপালার আড়ালে চোখে পড়ে ছোট-বড় অনেক কুটির। বড় রাস্তার ঢাল বেয়ে নিচে নামতেই কানে আসে কলরব। দুই পাশের জলাধারে ঝিকমিক করে ভরদুপুরের রোদ্দুর। অভ্যর্থনা কক্ষে এগিয়ে গেলে কেউ একজন রঙচঙে বুনোফুলের গুচ্ছ তুলে দেন হাতে। তার পর আসে স্বাগত পানীয়, মানে ওয়েলকাম ড্রিংকস সদ্য গাছ থেকে পেড়ে আনা ডাব। ডাবের পানি শেষ করতে করতে বাংলো বরাদ্দের কাজ শেষ। যে বাংলোয় থাকার ব্যবস্থা হয়েছে তার নাম একবার শুনে মনে রাখা শক্ত রোড লাভার স্কুইড। বাকি গোটা ৩০ ভিলা এবং বাংলোর নামেরও একই হাল।
Image result for মারমেইড ইকো রিসোর্ট
মারমেইড ইকো রিসোর্ট

যাওয়ার উপায় ?

কক্সবাজারের কলাতলী থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চেপে করে যেতে পারেন পেঁচার দ্বীপে। ভাড়া নিবে প্রায় ২০০ টাকা। এছাড়া কক্সবাজার এয়ারপোর্ট থেকে সিএনজি নিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যায়। সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট।

কোথায় থাকবেন ?

মারমেইড ইকো রিসোর্টে বাংলো আছে অনেক রকম। তবে বাংলো বুকিংয়ের ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে যাওয়ার আগেই। এ রিসোর্টে কটেজ আছে ৩০টি। এখানকার কটেজে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রুম রয়েছে। প্রথম ক্যাটাগরির কটেজের রুম ভাড়া ২ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকা আর দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ৮ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা। থ্রি স্টার হোটেলের যাবতীয় সুবিধা আছে এ রিসোর্টটিতে।

যোগাযোগ

ওয়েবসাইটঃ http://mermaidecoresort.com
ফোনঃ +৮৮০ ০১৮৪১৪১৬৪৬৪-৯

কুতুবদিয়া দ্বীপ

প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের কুতুবদিয়া দ্বীপ যা কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। কুতুবদিয়া দ্বীপে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে এখানকার বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে। এখানে আছে নানান বৈচিত্র্য। নির্জন সমূদ্র সৈকত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র, লবণ চাষ, বাতিঘর, কুতুব আউলিয়ার মাজারসহ আছে দেখার মতো অনেক কিছু।

Related image
কুতুবদিয়া দ্বীপ
কুতুবদিয়া চ্যানেল

কুতুবদিয়া চ্যানেল বেশ বড়। সারা বছর বেশ উত্তাল থাকলেও শীতে মোটামুটি শান্তই থাকে। মাগনামা ঘাট থেকে এই চ্যানেল পাড়ি দিয়েই পৌঁছতে হবে দ্বীপে।

সমুদ্র সৈকত

কুতুবদিয়ার সমুদ্র সৈকত উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। বেশিরভাগ এলাকাই বেশ নির্জন। পর্যটকের আনাগোনা নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে শুধু আছে জেলেদের কর্মব্যস্ততা। কোথাও কোথাও সৈকতের পাশে আছে ঝাউগাছের সারি। কুতুবদিয়া সৈকতের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট হল প্রচুর গাংচিল ঘুরে বেড়ায় সেখানে। নির্জনতার সুযোগে সৈকতের কোথাও কোথাও লাল কাঁকড়াদের দল ঘুরে বেড়ায় নির্ভয়ে। সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার জন্য কুতুবদিয়ার সৈকত আদর্শ জায়গা।

বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র কুতুবদিয়ায় অবস্থিত। প্রায় এক হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে সৈকতের দক্ষিণ প্রান্তে, আলী আকবরের ডেল এলাকায়। দেখতে ভুল করবেন না দেশের বড় এই বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

Image result for বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বাতিঘর

সমুদ্রপথে চলাচলকারী জাহাজের নাবিকদের পথ দেখাতে বহুকাল আগে কুতুবদিয়ায় তৈরি করা হয়েছিল একটি বাতিঘর। পুরানো সেই বাতিঘর সমুদ্রে বিলীন হয়েছে বহু আগে। তবে এখনও ভাটার সময় সেই বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষ কখনও কখনও জেগে উঠতে দেখা যায়। পুরানো বাতিঘরের এলাকায় পরে যে বাতিঘর তৈরি করা হয়েছিল সেটিই এখন নাবিকদের পথ দেখায়। বড়ঘোপ বাজার থেকে সমুদ্র সৈকত ধরে উত্তর দিকে কিছু দূর গেলে বর্তমান বাতিঘরের অবস্থান।

কুতুব আউলিয়ার দরবার

দ্বীপের ধুরং এলাকায় কুতুব আউলিয়ার দরবার শরীফ। এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী। এখানেই জন্মগ্রহণ করেন ১৯১১ সালে। ২০০০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি মারা যান। প্রতিবছর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে (৭ ফাল্গুন) হাজারও ভক্তের সমাগম ঘটে এখানে। কথিত আছে কুতুবদিয়ার নামকরণ হয়েছে কুতুব আউলিয়ার পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই। বর্তমানে কুতুব শরীফ দরবারের দায়িত্বে আছেন তাঁরই পুত্র শাহজাদা শেখ ফরিদ।

লবণ চাষ

শীতে কুতুবদিয়ার জমিতে চাষ হয় লবণ। এ সময়ে সেখানে গেলে দেখা যাবে মাঠে মাঠে কৃষকদের লবণ চাষের ব্যস্ততা। দ্বীপের সর্বত্রই কম-বেশি লবণের চাষ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি লবণের মাঠ তাবলের চর, কৈয়ার বিল, আলী আকবরের ডেল-এ রয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে লবণ উৎপাদনের নানান কৌশল দেখা যাবে এখানে।

কীভাবে যাবেন ?

কুতুদিয়া যেতে হবে কক্সবাজারের বাসে। ঢাকা থেকে সরসরি কক্সবাজার যায় সোহাগ পরিবহন, টি আর ট্রাভেলস, গ্রীন লাইন পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সেন্টমার্টিন পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহনের এসি বাস। ভাড়া ১ হাজার ৭শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা। এছাড়া এস আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী, ইউনিক, ঈগল ইত্যাদি পরিবহনের নন এসি বাসে ভাড়া সাড়ে ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। এসব বাসে চড়ে নামতে হবে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের পথে যাত্রা বিরতি স্থল ইনানী রিসোর্টের এক কিলোমিটার সামনে বড়ইতলি মোড়ে। সেখান থেকে সিএনজি চালিত বেবিটেক্সিতে যেতে হবে মাগনামা ঘাট। জনপ্রতি ভাড়া ৩৫ টাকা। রিজার্ভ নিলে ২শ’ টাকা। মাগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল পার হতে হবে ইঞ্জিন নৌকা অথবা স্পিড বোটে।
ইঞ্জিন নৌকায় সময় লাগে ২০ থেকে ২৫ মিনিট, ভাড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর স্পিডবোটে লাগে ১০ মিনিট, ভাড়া ৬০ টাকা। চ্যানেল পার হলেই কুতুবদিয়া।
বড়ঘোপ বাজার রিকশায় যেতে লাগবে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে ও কক্সবাজার বাসস্টান্ড থেকে সরাসরি এস আলমের বাস যায় মাগনামা ঘাটে। ভাড়া চট্টগ্রাম থেকে ১৬০ টাকা, কক্সবাজার থেকে ৯০ টাকা।

কোথায় থাকবেন ?

কুতুবদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য মানসম্মত একমাত্র আবাসন ব্যবস্থা হল হোটেল সমুদ্র বিলাস। সমুদ্র লাগোয়া এই হোটেলে বসে উপভোগ করা যায় সমুদ্রের সৌন্দর্য। হোটেলের দুই জনের নন এসি কক্ষ ভাড়া ৮শ’ টাকা তিনজনের ১ হাজার এবং চার জনের কক্ষ ভাড়া ১ হাজার ২শ’ টাকা। যোগাযোগ: হোটেল সমুদ্র বিলাস, বড়ঘোপ বাজার, কুতুবদিয়া। মোবাইল ০১৮১৯৬৪৭৩৫৫, ০১৭২২০৮৬৮৪৭

খাওয়া-দাওয়া ?

খাবারের জন্য কুতুবদিয়ায় বিশেষ কিছু পাবেন না। কিন্তু কক্সবাজার  খাবারের সঙ্গে এখানকার খাবারের বেশ মিল পাবেন। পাবেন ভাত, বিভিন্ন রকম ভর্তা, শুঁটকি আর মাছ-মাংস তো আছেই।

সতর্কতাঃ

সৈকতে জোয়ার ভাটা চিহ্নিত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই নিজ দায়িত্বে জোয়ার-ভাটার সময় জেনে সমুদ্র স্নানে নামতে। ভাটার সময় সমুদ্রে নামা বিপজ্জনক।

শাহপরীর দ্বীপ

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থিত শাহপরীর দ্বীপ । এটি মূলত সাবরাং ইউনিয়নের একটি গ্রাম। একসময় এটি দ্বীপ থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কিছুকাল আগে এটি মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। টেকনাফ উপজেলা শহর থেকে শাহপরীর দ্বীপ এর দূরত্ব প্রায় পনের কিলোমিটার। জনশ্রুতি আছে শাহসুজার স্ত্রী পরীবানুর ‘পরী’ ও শাহসুজার ‘শাহ’ মিলে এ দ্বীপের নামকরণ শাহপরীর দ্বীপ করা হয়েছে। আবার অন্য একটি মতে শাহ ফরিদ আউলিয়ার নামেই এ দ্বীপের নামকরণ। শাহপরীর দ্বীপ এর নামকরণের এরকম আরো অনেক ইতিহাস প্রচলিত আছে স্থানীয়দের কাছে।

Related image
শাহপরীর দ্বীপ
শাহপরীর দ্বীপ এর তিনটি সৈকতেই নেই কোন রকম লাইফ গার্ডের ব্যবস্থা। তাই জোয়ার-ভাটার সাংকেতিক কোন চিহ্নও থাকে না এ সৈকতগুলোতে। তাই সমুদ্র স্নানে নামলে আগে থেকেই নিজ দায়িত্বে জোয়ার ভাটা সম্পর্কে জেনে নিন। কোনো অবস্থাতেই ভাটার সময় সমুদ্রে নামবেন না।

কীভাবে যাবেন ?

ঢাকা থেকে সরাসরি টেকনাফ যায় সেন্টমার্টিন সার্ভিসের ( ০১৭১১৩২১১৪৩, ০১৮২৩০০৪৪৮৮) হিনো এসি বাস। ভাড়া ১১৫০ টাকা। এছাড়াও ঢাকা থেকে শ্যামলি, এস আলম, সৌদিয়া, হানিফ ইত্যাদি পরিবহনের নন এসি বাস যায় টেকনাফ। ভাড়া ৬৫০-৮০০ টাকা। ঢাকা থেকে যেকোনো বাসে কক্সবাজার এসে সেখান থেকেও সহজেই আসা যায় টেকনাফ। কক্সবাজার শহর থেকে লোকাল মাইক্রোবাসসহ বেশকিছু বাস যায় টেকনাফ। ভাড়া ১২০-২৫০ টাকা। কক্সবাজার থেকে টেকনাফের বাস ছাড়ে আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল থেকে আর মাইক্রোবাসগুলো ছাড়ে শহরের কলাতলী এবং টেকনাফ বাইপাস মোড় থেকে।
টেকনাফ শহর থেকে জীপে বা সিএনজিতে চড়ে যেতে হয় শাহপরীর দ্বীপ এ

কোথায় থাকবেন ?

টেকনাফে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল নে টং ( ফোন :০৩৪২৬-৭৫১০৪, এসি দ্বৈত কক্ষ ১৯০০ টাকা, এসি স্যুইট ৩১০০ টাকা এবং সাধারণ দ্বৈত কক্ষ ১৩০০ টাকা)। পর্যটনের এ মোটেলটি টেকনাফ শহরের বাইরে। টেকনাফ শহরেও কিছু সাধারণ মানের হোটেল আছে। এসব হোটেলে ৩০০-১৫০০ টাকায় কক্ষ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আপনি চাইলে শাহপরীর দ্বীপ এ তাবু টানিয়ে থাকতে পারবেন।

সোনাদিয়া দ্বীপ, মহেশখালী, কক্সবাজার

সোনাদিয়া দ্বীপ কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার একটি সুন্দর দ্বীপ। এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কিমি.। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিমি উত্তর-পশ্চিমে এবং মহেশখালি দ্বীপের দক্ষিনে সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত। একটি খাল দ্বারা এটি মহেশখালি দ্বীপ থেকে বিছিন্ন হয়েছে। তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন এবং বিচিত্র প্রজাতির জলাচর পাখি দ্বীপটিকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। সোনাদিয়া দ্বীপের মানব বসতির ইতিহাস মাত্র ১০০-১২৫ বছরের। দ্বীপটি ২টি পাড়ায় বিভক্ত। পূর্ব ও পশ্চিম পাড়া। দ্বীপের মোট জনবসতি প্রায় ২০০০ জন। এই দ্বীপে ২টি মসজিদ, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি সাইক্লোন সেন্টার, আনুমানিক ১২টি গভীর নলকূপ রয়েছে। পূর্ব পাড়ায় তুলনামূলকভাবে জনবসতি বেশী। মাছ ধরা এবং মাছ শুকানো, চিংড়ি ও মাছের পোনা আহরন দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা। কিছু মানুষ ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও কাঠের সাধারন নৌকা এবং উহা চালানোর সহকারী হিসাবে কাজ করেও জীবিকা নির্বাহ করে। চারিদিকে নোনা পানি বেষ্টিত হওয়ায় এই দ্বীপে তেমন কোন খাদ্য শষ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। দৈনন্দিন প্রয়োজনাদি জিনিস পত্র সব মহেশখালি থেকে ক্রয় করে আনতে হয়।


Image result for সোনাদিয়া দ্বীপ, মহেশখালী
সোনাদিয়া দ্বীপ
ক্যাম্পিং করার জন্য আদর্শ একটা জায়গা এই সোনাদিয়া, বন্ধুরা মিলে তাবু নিয়ে কয়েকদিনের জন্য ছুটে যেতে পারেন নির্জন এই দ্বীপে। বিশেষ করে চাঁদনী রাতে এই সোনাদিয়ার সৈকতে একটা রাত ক্যাম্পিং আর বার বি কিউ পার্টি করে দেখতে পারেন, দেখুন দুনিয়াটা কত সুন্দর।

কিভাবে যাবেন ?

ঢাকার কমলাপুর, সায়েদাবাদ, কল্যাণপুর ও দেশের যেকোনো স্থান থেকে বাস, ট্রেন বা অন্য কোনো বাহনে করে প্রথমে যেতে হবে কক্সবাজার। কক্সবাজার কস্তুরী ঘাট থেকে স্পিডবোট বা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে তারপর যেতে হবে মহেশখালী। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে কলাতলী বা লাবণী পয়েন্ট থেকে কক্সবাজারের ৬ নং ঘাট এ আসতে হবে। ওখানে মহেশখালী যাওয়ার জন্যে স্পীড বোট পাবেন, ভাড়া প্রতিজন ৭৫ টাকা, মহেশখালী ঘাটে পৌঁছতে সময় লাগবে ১২-১৫ মিনিট। স্পীড বোটে চড়তে ভয় লাগলে গাছের বোটে চড়ে আসতে পারেন, ভাড়া ৩০ টাকা, সময় লাগবে ৪৫-৫০ মিনিট।
মহেশখালী ঘাটে নেমে রিক্সা নিয়ে চলে আসবেন গোরকঘাটা বাজারে, ভাড়া ২০ টাকা। এরপর আপনাকে যেতে হবে ঘটিভাঙ্গায়, মহেশখালীর গোরকঘাটা থেকে ঘটিভাঙার দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। ৩-৪ জন হলে একটা সিএনজি নিয়ে যেতে পারেন ঘটিভাঙ্গা, ভাড়া ১৫০-১৭০ টাকা।
সেখান থেকে আবার ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে সোনাদ্বিয়া দ্বীপে যেতে হয়। ঘটিভাঙা নেমে খেয়া নৌকায় সোনাদিয়া চ্যানেল পার হলেই সোনাদিয়া। ভাটার সময় খালে খুব বেশি পানি থাকেনা। সোনাদিয়া যাওয়ার দুটো উপায় আছে। হেঁটে যাওয়া অথবা জোয়ার এলে নৌকা।
প্রতিদিন জোয়ারের সময় পশ্চিম সোনাদিয়া থেকে ঘটিভাঙা পর্যন্ত মাত্র একবার একটি ট্রলার ছেড়ে আসে। এই ট্রলারটিই কিছুক্ষণের মধ্যে যাত্রীদের তুলে নিয়ে আবার ফিরতি যাত্রা করে। ভাড়া প্রতিজন ২৫ টাকা ।
ঘটিভাঙ্গা থেকে সোনাদিয়া পশ্চিম পাড়ার উদ্দেশ্যে দিনে শুধু মাত্র একটি বোট যায়। বোট ছাড়ার সময় জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে, সাধারণত সকাল ১০ টা বা ১১ টার দিকে ছাড়ে । ৪০-৫০ মিনিটের মধ্যেই আপনি পৌঁছে যাবেন সোনাদিয়ায়, ভাড়া প্রতিজন ২৫ টাকা । বোট থেকে নেমে কাছেই বন বিভাগের একটা বিল্ডিং আছে, ওখানে রেস্ট নিতে পারেন, কিংবা কিছুক্ষণের জন্যে বসে আড্ডা দিতে পারেন পাশের ঝাউবাগানে । এরপর স্থানীয়দের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে চলে যেতে পারেন বীচে, ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই দেখা পাবেন সমুদ্র সৈকতের
ঘটিভাঙ্গা থেকে হেঁটে হেঁটেও সোনাদিয়া যাওয়া যায়, তবে তা একটু কষ্টকর। হেঁটে গেলে আপনাকে সোনাদিয়া পুর্ব পাড়ায় যেতে হবে, ওদিকে থাকা খাওয়ার কোন ব্যবস্থা এখনও হয়নি, তাই পশ্চিম পাড়া চলে যাওয়াটাই ভালো।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার থেকেও সরাসরি স্পিডবোট রিজার্ভ করে সোনাদিয়া দ্বীপে যাওযার ব্যবস্থা রয়েছে। সে জন্য নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। যারা ভ্রমণকে অ্যাডভেঞ্চারময় করতে ভালোবাসেন তারা কিছু বাড়তি খরচ করে কক্সবাজার থেকে সরাসরি স্পিডবোটে করে সোনাদিয়া দ্বীপে যেতে পারেন।
আরেকটা সুখবর, এখন সরাসরি গাড়িতে করে মহেশখালী যাওয়া যায়। যারা বোটে চড়তে ভয় পান বলে স্থলপথে আসতে চান বা প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে যেতে চান তাদেরকে কক্সবাজার থেকে বা ঢাকা/চট্টগ্রাম থেকে আসার পথে চকরিয়া নামতে হবে। চকরিয়া থেকে জীপ/সিএনজিতে করে বদরখালি এবং তারপর জীপ/সিএনজিতে করে গোরকঘাটা বাজারে যেতে হবে।


থাকা-খাওয়া ?

সোনাদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য কোনো আবাসিক হোটেল নেই। খাওয়ারও তেমন কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় লোকজনকে টাকা দিলে তারা খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। আর সোনাদিয়া দ্বীপে রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রেও ভরসা সেই স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে রাতে থাকার কষ্টের কথা চিন্তা করে যারা সূর্যোদয়ের আগেই ফিরে আসবেন তারা সোনাদিয়া দ্বীপের আসল সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত হবেন। এখানকার সূর্যাস্ত আরও অসাধারণ। সন্ধ্যায় সাদা পালক দুলিয়ে সারি সারি বক উড়ে যায় আপন ঠিকানায়। নীল আকাশের কপালে কে যেনো দেয় লাল টিপ। আস্তে আস্তে যখন সূর্য হারিয়ে যায় সাগরের বুকে তখন তৈরি হয় এক মোহনীয় পরিবেশ। আর সোনাদিয়া দ্বীপে রাত্রিযাপন হতে পারে আপনার জীবনের সেরা রাতের একটি।
রাত্রী যাপন করতে চাইলে স্থানীয়দের বাসায় থাকতে হবে, এক্ষেত্রে গিয়াস উদ্দিন নামের ঐ এলাকার এক ছেলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারবে, বিনিময়ে তাকে কিছু দিয়ে দিলেই হবে। আগে থেকে বলে রাখলে টাটকা সামুদ্রিক মাছ বা শুটকি রেঁধে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে দিবে, আগেও উনি বেশ কিছু ট্যুরিস্টকে এ ব্যাপারে হেল্প করেছেন। এছাড়া চাইলে বন বিভাগের অফিসে থাকতে পারেন, সেক্ষেত্রে ওখানকার স্টাফদের অনুমতি নিতে হবে।
সোনাদিয়া দ্বীপে দুইটি পাড়া আছে। পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়া। ঘোরাঘুরি ও ক্যাম্পিং করার জন্য পশ্চিমপাড়া সম্পূর্ণ নিরাপদ

বিঃ দ্র:

কক্সবাজার থেকে একদিনে সোনাদিয়া ঘুরে আসা সম্ভব না, হাতে অন্তত দুইটা দিন সময় নিয়ে বের হোন, তাহলে সোনাদিয়ার পাশাপাশি মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির , রাখাইন পাড়া, বৌদ্ধমন্দির, চরপাড়া, লবণের মাঠ, পানের বরজ- সবকিছু ভাল মত দেখতে পারবেন। রিক্সায় উঠার আগে আশেপাশের স্থানীয় কারো কাছ থেকে ভাড়াটা জেনে নিবেন, তারপর দরদাম করে উঠবেন, নয়তো কিছু কিছু রিকশাওয়ালা খুব ঝামেলা করে।

হিমছড়ি ঝর্ণা

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত হিমছড়ি ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্র। টিকেট কেটে এখানে ঢুকতে হয়। ভীতরের পরিবেশটা বেশ সুন্দর। এখানে একটি ছোট ঝর্না রয়েছে যা হিমছড়ি ঝর্ণা নামে পরিচিত। ঝর্নাটি ছোট কিন্তু বর্ষামৌসুমে এটি দারুন রূপ ধারন করে।
টিকেট মূল্যঃ
হিমছড়ি ঝর্ণা দেখতে হলে আপনাকে হিমছড়ি ইকোপার্কে প্রবেশের জন্য ২০/- টাকার টিকেট কাটতে হবে

Related image
হিমছড়ি ঝর্ণা
কিভাবে যাবেন ?

ঢাকা থেকে সৗদিয়া, এস আলম এর মার্সিডিজ বেঞ্জ, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, এস.আলম পরিবহন, মডার্ন লাইন, শাহ্ বাহাদুর, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন বাসে সব সময় কক্সবাজার যাওয়া যায়। এসি, নন এসি বাস রয়েছে। ভাড়া পড়বে ৯০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে
যদি ট্রেনে যেতে চান, তাহলে কমলাপুর থেকে উঠতে হবে, নামতে হবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম থেকে তারপরে আপনাকে কক্সবাজার যেতে হবে।
বিমানেও মাত্র ৪৫ মিনিটে কক্সবাজারে যাওয়া যায়। নিয়মিত কক্সবাজারে নভো এয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজসহ অন্যান্য বিমান আসা যাওয়া করে। এক্ষেত্রে ভাড়া হবে ৬৫০০-৮০০০ হাজার টাকা।
কক্সবাজার সৈকত থেকে সবসময়ই খোলা জীপ ছাড়ে হিমছড়ির উদ্দেশ্যে। জনপ্রতি ভাড়া ৭০-১০০ টাকা। আর রিজার্ভ নিলে লাগবে ১৪০০-১৬০০ টাকা। এছাড়া রিকশা করেও যাওয়া যায় হিমছড়িতে। যাওয়া আসার ভাড়া লাগবে ৩০০-৩৫০ টাকা। আর ব্যাটারি চালিত রিকশায় গেলে যাওয়া আসার ভাড়া পড়বে ৫০০-৬০০ টাকা।

কোথায় থাকবেন ?

আপনাকে থাকতে হবে কক্সবাজারের কোন একটি হোটেলে।কক্সবাজারে রয়েছে পর্যটকের জন্য সাড়ে ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ।  ঢাকা থেকেই ফোন দিয়েই বুকিং দিতে পারেন।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত মোটেল শৈবাল (ফোন -০৩৪১-৬৩২৭৪)
তারকা মানের সিগাল হোটেল (ফোন নং-০৩৪১-৬২৪৮০-৯১)
হোটেল সি-ক্রাউন (০৩৪১-৬৪৭৯৫, ০৩৪১-৬৪৪৭৪, ০১৮১৭ ০৮৯৪২০)


হোটেল সি-প্যালেস (ফান নং-০৩৪১-৬৩৬৯২, ৬৩৭৯২, ৬৩৭৯৪, ৬৩৮২৬)

হোটেল ওসান প্যরাডাইস লি. (০১৯৩৮৮৪৬৭৫৩) উল্লেখ্যযোগ্য।
হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল (০৩৪১-৬২৮৮১-৮৫ ৬২৮৮১-৮৫)
এখানে এক রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা দামের কক্ষ। যারা থাকার জন্য এত খরচ করতে চাচ্ছেননা, তাদের জন্য কমমূল্যে থাকার হোটেলও রয়েছে। হোটের সীগালের পিছনে রোডে অর্থাৎ কলাতলি রোডের হোটেলগুলোতে মাত্র ৫০০ টাকাতেও থাকা যায়

ইনানী বীচ

বেলাভূমিতে। অনেকটাই শান্ত প্রকৃতির সৈকত এই ইনানী। জোয়ারের সময় এলে প্রবাল পাথরের দেখা পাওয়া যাবে না। ভাটার সময়েই কেবল মাত্র বিশাল এলাকা জুড়ে ভেসে উঠে এই পাথর। প্রবাল পাথরে লেগে থাকে ধারালো শামুক ঝিনুক। তাই এখানে বেশী লাফালাফি করা বিপদজনক।
ইনানী সৈকতের প্রধান আকর্ষণ প্রবাল আর পাথর। প্রায় প্রতিটা পাথরই নানা আকার আর ধরণের। কত বছরের পুরনো সে পাথর! আর তাতে মিশে আছে কত স্মৃতি! আপনি যদি টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ইনানী সৈকতে যান তবে যাবার পথে আপনার দু চোখ জুড়িয়ে দেবে উঁচু উঁচু পাহাড় আর উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ। শুধু চোখই জুড়বে না, বরং পুরো সময়টা আপনি থাকবেন এক ধরণের সিদ্ধান্তহীনতায়! এক পাশে পাহাড় আরেক পাশে সাগর। কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখবেন? মন যে দু দিকই দেখতে চাইবে।


Image result for ইনানী বীচ
ইনানী সৈকত

সাগরে নামতে না চাইলে বা সে রকম পরিকল্পনা না থাকলে ইনানী সৈকতে যেতে পারেন বিকেল বেলায়। পড়ন্ত বিকেলের শান্ত সাগর আপনার সামনে তুলে ধরবে তার বিশালতা। সূর্যাস্তটাও উপভোগ করে ফিরতে পারেন। বিকেলে জোয়ার থাকে বলে সাধারণত অন্য সময়ের তুলনায় সে সময়ে মানুষের উপচে পড়া ভিড় কিছুটা কম থাকে। সাগর যেখানে নিজের ভাষায় কথা বলছে সেখানে মানুষের কোলাহল কিছুটা কম থাকাই কাম্য!

কিভাবে যাবেন ?

ঢাকা থেকে সৗদিয়া, এস আলম এর মার্সিডিজ বেঞ্জ, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, এস.আলম পরিবহন, মডার্ন লাইন, শাহ্ বাহাদুর, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন বাসে সব সময় কক্সবাজার যাওয়া যায়। এসি, নন এসি বাস রয়েছে। ভাড়া পড়বে ৯০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে।

যদি ট্রেনে যেতে চান, তাহলে কমলাপুর থেকে উঠতে হবে, নামতে হবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম থেকে তারপরে আপনাকে কক্সবাজার যেতে হবে।
বিমানেও মাত্র ৪৫ মিনিটে কক্সবাজারে যাওয়া যায়। নিয়মিত কক্সবাজারে নভো এয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজসহ অন্যান্য বিমান আসা যাওয়া করে। এক্ষেত্রে ভাড়া হবে ৬৫০০-৮০০০ হাজার টাকা।

রিজার্ভ জীপ নিলে লাগবে ১৮০০-২৫০০ টাকা। একটি জীপে ১০-১৫জন অনায়াসেই ঘুরে আসা যায়। দু তিন জন হলে ব্যাটারি চালিত রিকশা নিয়েও যেতে পারেন। সারাদিনের জন্য সে ক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে ১০০০-১২০০টাকা।

কোথায় থাকবেন ?
আপনাকে থাকতে হবে কক্সবাজারের কোন একটি হোটেলে। কক্সবাজারে রয়েছে পর্যটকের জন্য সাড়ে ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ।  ঢাকা থেকেই ফোন দিয়েই বুকিং দিতে পারেন।


হিমছড়ি থেকে আরো ৫ কিলোমিটার গেলেই ইনানী বীচ বা ইনানী সমুদ্র সৈকত। ইনানী বীচে প্রবাল পাথরের ছড়াছড়ি। অনেকটা সেন্টমার্টিনের মতই। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মত এখানে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে না সৈকতের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত মোটেল শৈবাল (ফোন -০৩৪১-৬৩২৭৪)
তারকা মানের সিগাল হোটেল (ফোন নং-০৩৪১-৬২৪৮০-৯১) হোটেল সি-প্যালেস (ফান নং-০৩৪১-৬৩৬৯২, ৬৩৭৯২, ৬৩৭৯৪, ৬৩৮২৬) হোটেল সি-ক্রাউন (০৩৪১-৬৪৭৯৫, ০৩৪১-৬৪৪৭৪, ০১৮১৭ ০৮৯৪২০) হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল (০৩৪১-৬২৮৮১-৮৫ ৬২৮৮১-৮৫)
হোটেল ওসান প্যরাডাইস লি. (০১৯৩৮৮৪৬৭৫৩) উল্লেখ্যযোগ্য।


এখানে এক রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা দামের কক্ষ। যারা থাকার জন্য এত খরচ করতে চাচ্ছেননা, তাদের জন্য কমমূল্যে থাকার হোটেলও রয়েছে। হোটের সীগালের পিছনে রোডে অর্থাৎ কলাতলি রোডের হোটেলগুলোতে মাত্র ৫০০ টাকাতেও থাকা যায়।

ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক

কক্সবাজার জেলা কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে এবং চকরিয়া থানা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার জেলা সদরের দক্ষিণ বন বিভাগের ফাসিয়াখালি রেঞ্জের ডুলাহাজারা ব্লকে অবস্থিত। মূলত হরিণ প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক এই পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সাফারি পার্কটি ৯০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
এখানে প্রাকৃতিক অবকাঠামোর বদলে অত্যাধুনিক ও কৃত্রিম অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে বেশি। আটটি ব্লকে ভাগ করে গড়ে তোলা এ পার্কে মুক্ত পরিবেশে হাঁটাচলা করা যায়, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনায়াসে বেড়ানো যায়।
Image result for ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক
ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক মূলত হরিণ প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে বাঘ, সিংহ, হাতি, ভালুক, গয়াল, কুমির, জলহস্তী, মায়া হরিণ, সম্বর হরিণ, চিত্রা হরিণ, প্যারা হরিণ প্রভৃতি প্রাণীও রয়েছে। এই পার্কে স্বাদুপানির কুমির যেমন আছে, তেমনি আছে লোনা পানির কুমির। কিছু পশুপাখি খাঁচায় বন্দি হলেও এ পার্কে অবস্থারত অধিকাংশ পশুপাখিদের বিচরনের জন্য প্রচুর উন্মুক্ত জায়গা রয়েছে। পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিশ্রামাগার ও ডরমেটরী।
এখানে স্থাপিত একাধিক পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মাধ্যমে নয়নাভিরাম সৌর্ন্দয ও পশু পাখিদের বিচরণ নিরাপদে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
টিকেট মূল্যঃ পার্কের প্রবেশ মূল্য ৳2০ (বিশ টাকা)।

কিভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে সৗদিয়া, এস আলম এর মার্সিডিজ বেঞ্জ, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, এস.আলম পরিবহন, মডার্ন লাইন, শাহ্ বাহাদুর, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন বাসে সব সময় কক্সবাজার যাওয়া যায়। এসি, নন এসি বাস রয়েছে। ভাড়া পড়বে ৯০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে।

যদি ট্রেনে যেতে চান, তাহলে কমলাপুর থেকে উঠতে হবে, নামতে হবে চট্টগ্রাম । চট্টগ্রাম থেকে তারপরে আপনাকে কক্সবাজার যেতে হবে।
বিমানেও মাত্র ৪৫ মিনিটে কক্সবাজারে যাওয়া যায়। নিয়মিত কক্সবাজারে নভো এয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজসহ অন্যান্য বিমান আসা যাওয়া করে। এক্ষেত্রে ভাড়া হবে ৬৫০০-৮০০০ হাজার টাকা।
কক্সবাজার শহর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা কিংবা মাইক্রোবাস অথবা পাবলিক বাসে করে যেতে পারেন সাফারী পার্কে।

কোথায় থাকবেন ?

আপনাকে থাকতে হবে কক্সবাজারের কোন একটি হোটেলে।কক্সবাজারে রয়েছে পর্যটকের জন্য সাড়ে ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ।  ঢাকা থেকেই ফোন দিয়েই বুকিং দিতে পারেন।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত মোটেল শৈবাল (ফোন -০৩৪১-৬৩২৭৪)
তারকা মানের সিগাল হোটেল (ফোন নং-০৩৪১-৬২৪৮০-৯১)হোটেল সি-প্যালেস (ফান নং-০৩৪১-৬৩৬৯২, ৬৩৭৯২, ৬৩৭৯৪, ৬৩৮২৬)হোটেল সি-ক্রাউন (০৩৪১-৬৪৭৯৫, ০৩৪১-৬৪৪৭৪, ০১৮১৭ ০৮৯৪২০)হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল (০৩৪১-৬২৮৮১-৮৫ ৬২৮৮১-৮৫)হোটেল ওসান প্যরাডাইস লি. (০১৯৩৮৮৪৬৭৫৩) উল্লেখ্যযোগ্য।এখানে এক রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা দামের কক্ষ। যারা থাকার জন্য এত খরচ করতে চাচ্ছেননা, তাদের জন্য কমমূল্যে থাকার হোটেলও রয়েছে। হোটের সীগালের পিছনে রোডে অর্থাৎ কলাতলি রোডের হোটেলগুলোতে মাত্র ৫০০ টাকাতেও থাকা যায়।

হিমছড়ি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত হিমছড়ি পর্যটন কেন্দ্র। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এ সমুদ্র সৈকতের নাম হিমছড়ি। এখানকার সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নির্জন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। এর সৌন্দর্যও কোনো অংশে কম নয়। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো হিমছড়ি যত না সুন্দর তারচাইতে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর হল কক্সবাজার থেকে এ সৈকতে যাওয়ার পথটি। এক কথায় অসাধারন, কাব্যক, স্বপ্নের মত মত সুন্দর। একপাশে বিস্তৃর্ন সমুদ্রের বালুকা বেলা আর এক পাশে সবুজ পাহাড়ের সাড়ি। মাঝে পিচ ঢালা মেরিন ড্রাইভ। এমন দৃশ্য সম্ভবত দেশের আর কোথাও পাওয়া যাবে না। কেউ কক্সবাজার এলো অথচএই পথ ধরে ছুটলো না তার পুরো ভ্রমনই মাটি। পাহাড়ে উঠলে চোখের সামনে ভাসবে নীল দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া বিশাল সমুদ্র। হিমছড়ির পাহাড়ের হিমশীতল ঝরনা গুলো বেশ আকর্ষণীয়। ছোট ছোট ঝর্না আপন মনে ঝরে পরছে পাহাড়ের গায়ে ছূটে যাচ্ছে সাগরের দিকে।

Image result for হিমছড়ি
হিমছড়ি
হিমছড়িতে একটি ছোট পর্যটন কেন্দ্র আছে। টিকেট কেটে এখানে ঢুকতে হয়। ভীতরের পরিবেশটা বেশ সুন্দর। পাহাড়ের উপরে আছে অনেকগুলো বিশ্রামাগার। প্রায় ২ শতাধিক সিড়ি মাড়িয়ে উপরে উঠতে হয়। কষ্টটা মুহুর্তেই ভুলে যাবেন যখনপাহাড়ের চুড়া থেকে কক্সবাজারের পুরো সমুদ্র সৈকতটা এক পলকে দেখতে পাবেন। দুলর্ভ সে দৃশ্য। এখানে একটি ছোট ঝর্না রয়েছে। ঝর্নাটি ছোট কিন্তু বর্ষামৌসুমে এটি দারুন রূপ ধারন করে। যারা হৈ হুল্লুর পছন্দ করেন, বন্ধুদের নিয়ে উল্লাস করতে ভালবাসেন তাদের জন্য খোলা ছাদের জিপ উত্তম বাহন হিমছড়ি যাবার জন্য। ক্ষিপ্র গতিতে যখন জিপছুটে চলে খোলা জিপের উপর দাড়িয়ে দুপাশে তাকালে মনে হবে যেন স্বপ্নে দেশে ভেসে যাচ্ছেন। এটি হতে পারে আপনার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা। আর যারা একটুশান্ত, ভদ্রভাবে পরিবার কিংবা স্ত্রীকে নিয়ে যেতে চান হিমছড়ি তাদের জন্য রিক্সাই উত্তম বাহন। দুপুরের রোদ কমে গেলে রওনা হতে হবে। পথ চলতে হবে কক্সবাজারের নানা চিংড়ি হ্যাচারীর মাঝখান দিয়ে । রাস্তার একপাশে থাকবে উচু পাহাড় আরেক পাশে সাগর। নানা রকম পাখির কলতান শুনতে শুনতে আপনি রোমাঞ্চিত হবেন। এই রাস্তাটি সেনা বাহিনীর তৈরি করা। যাবার পথে সেনাবাহীর একটি ক্যাম্প।

টিকেট মূল্যঃ হিমছড়ি ইকোপার্কে প্রবেশের জন্য ২০/- টাকার টিকেট কাটতে হবে

কিভাবে যাবেন ?
ঢাকা থেকে সৗদিয়া, এস আলম এর মার্সিডিজ বেঞ্জ, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, এস.আলম পরিবহন, মডার্ন লাইন, শাহ্ বাহাদুর, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন বাসে সব সময় কক্সবাজার যাওয়া যায়। এসি, নন এসি বাস রয়েছে। ভাড়া পড়বে ৯০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে।
যদি ট্রেনে যেতে চান, তাহলে কমলাপুর থেকে উঠতে হবে, নামতে হবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম থেকে তারপরে আপনাকে কক্সবাজার যেতে হবে।

বিমানেও মাত্র ৪৫ মিনিটে কক্সবাজারে যাওয়া যায়। নিয়মিত কক্সবাজারে নভো এয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজসহ অন্যান্য বিমান আসা যাওয়া করে। এক্ষেত্রে ভাড়া হবে ৬৫০০-৮০০০ হাজার টাকা।
কক্সবাজার সৈকত থেকে সবসময়ই খোলা জীপ ছাড়ে হিমছড়ির উদ্দেশ্যে। জনপ্রতি ভাড়া ৭০-১০০ টাকা। আর রিজার্ভ নিলে লাগবে ১৪০০-১৬০০ টাকা। এছাড়া রিকশা করেও যাওয়া যায় হিমছড়িতে। যাওয়া আসার ভাড়া লাগবে ৩০০-৩৫০ টাকা। আর ব্যাটারি চালিত রিকশায় গেলে যাওয়া আসার ভাড়া পড়বে ৫০০-৬০০ টাকা।

কোথায় থাকবেন ?
আপনাকে থাকতে হবে কক্সবাজারের কোন একটি হোটেলে।কক্সবাজারে রয়েছে পর্যটকের জন্য সাড়ে ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ।  ঢাকা থেকেই ফোন দিয়েই বুকিং দিতে পারেন।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত মোটেল শৈবাল (ফোন -০৩৪১-৬৩২৭৪)
তারকা মানের সিগাল হোটেল (ফোন নং-০৩৪১-৬২৪৮০-৯১)
হোটেল সি-ক্রাউন (০৩৪১-৬৪৭৯৫, ০৩৪১-৬৪৪৭৪, ০১৮১৭ ০৮৯৪২০)


হোটেল সি-প্যালেস (ফান নং-০৩৪১-৬৩৬৯২, ৬৩৭৯২, ৬৩৭৯৪, ৬৩৮২৬)

হোটেল ওসান প্যরাডাইস লি. (০১৯৩৮৮৪৬৭৫৩) উল্লেখ্যযোগ্য।

হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল (০৩৪১-৬২৮৮১-৮৫ ৬২৮৮১-৮৫)



এখানে এক রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা দামের কক্ষ। যারা থাকার জন্য এত খরচ করতে চাচ্ছেননা, তাদের জন্য কমমূল্যে থাকার হোটেলও রয়েছে। হোটের সীগালের পিছনে রোডে অর্থাৎ কলাতলি রোডের হোটেলগুলোতে মাত্র ৫০০ টাকাতেও থাকা যায়।

ছেড়া দ্বীপ

ছেড়া দ্বীপে দেখা যাবে অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। সামুদ্রিক ঢেউ আর সারিসারি নারিকেল গাছ। প্রবাল পাথর ও পাথরের তৈরী বিভ্ন্নি কারুকার্য  চোখে পড়বে ছেড়া দ্বীপে গেলে। চাঁদনী রাতে ছেড়া দ্বীপ সাজে তার অপরুপ সাজে। চাঁদনী রাতে  যে কোন ভ্রমণকারীর মনভরে যাবে ছেড়া দ্বীপের অপরুপ শোভা অবলোকন করে। ছেড়া দ্বীপের একদম উপরের দিকটাতে ভরা পূর্ণিমাতে ক্যাম্পিং করে থাকার মজাই আলাদা।বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহৎ বদ্বীপ। এই বদ্বীপের সর্ব  দক্ষিণের স্থান ও দ্বীপের নাম হলো ছেড়া দ্বীপ । সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৫ কি: মিটার দক্ষিণে এ দ্বীপটির অবস্থান। ছেড়া দ্বীপের আয়তন তিন কিলোমিটার। ২০০০ সালের শেষের দিকে ছেড়া দ্বীপটির সন্ধান পাওয়া যায়। এটি সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

Image result for ছেড়া দ্বীপ
ছেড়া দ্বীপ

ছেড়া দ্বীপ যাবার উপায় ?

ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার (Cox’s Bazar) থেকে বাসে করে টেকনাফ যাওয়া যাবে। ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়েদাবাদে টেকনাফের বাস পাওয়া যায়। ঈগল, মডার্ন লাইন, এস আলম, শ্যামলী, গ্রীন লাইন ইত্যাদি বাস টেকনাফ যায়।  ১০-১৩ ঘণ্টা লাগে পৌঁছাতে। চট্টগ্রাম ও কক্স-বাজার থেকে নিয়মিত বাস পাওয়া যায় টেকনাফ এর উদ্দেশে। কক্স-বাজার থেকে মাইক্রো বাস ভাড়া করেও টেকনাফ যাওয়া যায়।

টেকনাফের জাহাজ ঘাটে গিয়ে আপনাকে সী ট্রাকের টিকেট কাটতে হবে। ভাড়া ৪৫০-৫৫০ টাকা (ফেরতসহ)। টেকনাফ হতে সেন্টমার্টিনের দুরত্ব ৯ কিমি। উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যেতে হয় এখানে। শীত মৌসুমে সাগর শান্ত থাকে তাই এই সময় এখানে যাওয়া অনেক বেশি নিরাপদ। এই পর্যটন মৌসুমে এখানে টেকনাফ হতে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত গ্রীন লাইনের ওয়াটার বাস, কেয়ারী সিন্দবাদ সহ বেশ কয়েকটি সী-ট্রাক চলাচল করে। সকাল ১০ টায় এই নৌযানটি সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এবং বিকাল ৩ টায় ফিরে আসে। <strong>নভেম্বর থেকে মার্চ পযন্ত মাত্র ৪ মাস জাহাজ চলে। অন্য সময় যেতে হলে ট্রলারে করে যেতে হবে।
এছাড়াও ট্রলার ও স্পীড বোটে করে যাওয়া যায় সেন্ট মার্টিন’স। সী ট্রাক গুলো এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলাচল করে। এর পর বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রশাসন একে চলতে দেয় না। তবে যারা বৈরি মৌসুমে এডভেঞ্চার হিসেবে যেতে চান সেন্টমার্টিন তারা ট্রলার ভাড়া করে যেতে পারেন। তবে এই যাত্রাটি খুব একটা নিরাপদ নয়। সাধারণত দুর্ঘটনা ঘটে না, তবে ঘটে যেতে পারে। তাই সাবধান। কিন্তু উত্তাল সাগরের প্রকৃত রূপ দেখা কিংবা নির্জন দ্বীপে বসে বৃষ্টিস্নান করার লোভ যারা সামলাতে না পারেন তাদের জন্য ট্রলার ছাড়া বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই, ৮০০ টাকায় ট্রলার ভাড়া করা যাবে অথবা প্রতি জন ১০০ টাকা করে ভাড়া দিয়েও যাওয়া যাবে।
সেন্টমার্টিন থেকে স্পীডবোটে করে কিংবা ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে করে ছেড়া দ্বীপ যেতে হয়। সেন্ট মার্টিনের জেটি থেকে ছাড়ে এগুলো। আপনি চাইলে শুধু ছেড়া দ্বীপ ঘুরে আসতে পারেন অথবা স্পীডবোটে করে ছেড়া দ্বীপ সহ আশে পাশের সকল দ্বীপ ঘুরে আসতে পারেন একদিনে।

কোথায় থাকবেন?

ছেড়া দ্বীপে আসলে থাকার কোন উপায় নেই, জোয়ারে বেশির ভাগ জায়গাই ডুবে যাওয়ার কারনে ওখানে থাকার অবস্থা নেই। তাই আপনাকে সেন্ট মার্টিনে ফেরত আসতে হবে। সেন্টমার্টিনের বেশ কিছু হোটেল ও রিসোর্টের নাম ও টেলিফোন নম্বর নীচে দেওয়া হলোঃ

ব্লু মেরিনঃ ০১৮১৯০৬৩৪১৮, ০১৭২২৪৭৩৬১৩, ০১৮১৯০৬৩৪২৫, ০২৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১,৯৩৫৯২৩০ (ঢাকা থেকে বুকিং দিতে হবে)
কোরাল ব্লু রিসোর্টঃ০১৭১৩১৯০০১৩, ০১৭১৩১৯০০০৭

প্রাসাদ প্যারাডাইসঃ ০১৭১৩০৬২৫৬৯
প্যাসিফিক রিসর্টঃ ০১৭৩২৪৩৪২৬৪ (সেন্টমার্টিন), ০১৭১২৬৪৩৬৯৪, ০১৭২০৯৩৯০৯০ (ঢাকা)
হোটেল স্বপ্ন প্রবাল : ০১৮১৪২৭৪৪০৯, ০১৭২২৫৪৫৮৭২ (সেন্টমার্টিন) ০২৮৬১১৪২৮, ০১৭১১-১১০৯১৯ (ঢাকা)
সমুদ্র বিলাস (হুমায়ুন আহমেদের): ০১৮১৩০১৯৮৩৯
সীমানা পেরিয়ে : ০১৮১৯০১৮০২৭, ০১৮১৭০৪২০২০ (সেন্টমার্টিন ), ০১৮১৯৪৬৬০৫৯, ০১৮১৯৪৭৮৪৩৪, ০১৯১১১২১২৯২, ০১৭১১৩৪৪৪৫১ ( ঢাকা)
নীল দিগন্তে রিসর্ট: ০১৭৩০০৫১০০৪ (সেন্টমার্টিন), ৮৬৫২৩৭৪, ০১৭৩০০৫১০০৫ (ঢাকা)

কোথায় খাবেন ?


ছেড়া দ্বীপে খাওয়ার মত উল্লেখযোগ্য কিছু নেই ডাব ও তরমুজ ছাড়া। ছোট ২-৪ টি চায়ের দোকান অবশ্য আছে। ভারী খাবার আপনাকে সেন্ট মার্টিন থেকে নিয়ে আসতে হবে অথবা সেন্ট মার্টিন ফিরে খেতে হবে।

আদিনাথ মন্দির, মহেশখালী

আদিনাথ মন্দির (Adinath Temple) সমুদ্রস্তর থেকে ৮৫.৩ মিটার উচুঁ মৈনাক পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত। বাংলাদেশের কক্সবাজার (Cox&#8217;s Bazar) জেলার অন্তর্গত মহেশখালী (Maheshkhali) উপজেলাধীন গোরখঘাটা ইউনিয়নের ঠাকুরতলা গ্রামে আদিনাথ মন্দির এর অবস্থান। এটি মূলত মহাদেব-এর মন্দির। জনশ্রুতি আছে, কোনো এক কৃষক এই দ্বীপের একটি বনের ভিতর মহেশ (হিন্দু পৌরাণিক দেবতা মহাদেব-এর অপর নাম) -এর মূর্তি পান। এরপর এই দেবতার নামে একটি মন্দির তৈরি করে, সেখানে ওই বিগ্রহটি স্থাপন করেন। পরে এই দেবতার নামের সাথে খালী (খাল অর্থে) শব্দ যুক্ত হয়ে— এই স্থানটি মহেশখালী নামে পরিচিত লাভ করে। উল্লেখ্য এই মন্দিরটি বর্তমানে আদিনাথ মন্দির হিসাবে অভিহিত হয়ে থাকে। দ্বীপের ভূমি থেকে এই মন্দিরে উঠার জন্য রয়েছে ৬৯টি সিঁড়ি।

Image result for আদিনাথ মন্দির, মহেশখালী
আদিনাথ মন্দির, মহেশখালী
আদিনাথ মন্দিরটির দৈর্ঘ্য ১০.৫০ মিটার, প্রস্থ ৯.৭৫ মিটার এবং উচ্চতা ৬ মিটার। মন্দিরের সম্মুখের প্রবেশপথটি ধনুকাকৃতির। এর অভ্যন্তরীণ দেওয়াল ১.০৫ মিটার এবং বহির্দেয়াল ০.৬০ মিটার। মন্দিরটির ভিতরে অংশ তিনটি কক্ষে বিভক্ত। এর উত্তরের কক্ষটি প্রাচীন। অপর দুটি কক্ষ (পূর্ব ও পশ্চিম) পরে তৈরি করা হয়েছে। এর উত্তরের অংশের প্রথমভাগে আছে ২টি বর্গাকৃতির পূজা কক্ষ। এর আয়তন ৩.৩৫ বর্গমিটার। পূর্বকক্ষে আছে  আদিনাথ বাণলিঙ্গ শিবমূর্তি। আর পশ্চিম কক্ষে আছে অষ্টভূজা দুর্গামূর্তি।

বর্তমানে এই মন্দির কমপ্লেক্সে আছে একটি মসজিদ ও একটি রাখাইন বৌদ্ধ বিহার। তাই অনেকে মন্দিরটিকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক মনে করেন। প্রতিবছর শিব চতুর্দশী উপলক্ষে হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে এ মন্দিরে। এ উপলক্ষে ১০/১৫ দিন মেলা বসে।

কীভাবে যাবেন ?

কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে সাগরের মাঝে অবস্থিত একটি দ্বীপ মহেশখালী। মহেশখালী বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ হিসেবে পরিচিত।  নৌকা, লঞ্চ বা স্পিডবোটে অল্প সময়েই এখানে পৌঁছানো যায়। প্রতিদিন সকাল বিকেলে কক্সবাজার বাহার ছড়া ঘাট থেকে মহেশখালী যাওয়া যায়। স্পিডবোটে ৬৫ টাকা এবং ট্রলার জাতীয় নৌকায় জনপ্রতি ২০ টাকায় প্রায় এক ঘণ্টায় মহেশখালী যাওয়া যায়। এখানে খাবারের জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল থাকলেও থাকার জন্য ভালো মানের তেমন কোনো হোটেল নেই

সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপ

সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবালদ্বীপ (Coral Island)। এটি কক্সবাজার (Cox’s Bazar) জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর (Naf River) মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও (Narikel Jinjira) বলা হয়ে থাকে। প্রচলিত আছে অনেক অনেক বছর আগে প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে এখানে দারুচিনি বোঝাই আরবের একটি বাণিজ্যিক জাহাজ পানির নীচে থাকা একটি বিশাল পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙ্গে পড়ে, যার ফলে জাহাজে থাকা দারুচিনি এই দ্বীপের সবখানে ছড়িয়ে যায় এবং পরবর্তীতে সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপের নাম হয়ে যায় ‘দারুচিনির দ্বীপ’। এখানে হুমায়ুন আহমেদের লেখা ও তৌকির আহমেদের পরিচালনায় দারুচিনির দ্বীপ (Daruchini Dwip) মুভির স্যুটিং হয়েছিল।

Related image
সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপ
সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন মৌসুমে এখানে প্রতিদিন ৫টি লঞ্চ বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড হতে আসা যাওয়া করে। সেন্ট মার্টিনের আসল মজা একরাত না থাকলে উপভোগ করা সম্ভব নয়। আরো ভাল হয় দুইরাত থাকলে। সেক্ষেত্রে ১টা দিন ছেড়া দ্বীপের (Chera Dwip) জন্য, আরেকটা দিন সেন্টমার্টিনের জন্য বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। প্রতিদিনের পর্যটকরা বিকেলের মধ্যেই ফিরে যায়, তাই বিকেলের পর থেকে দ্বীপে ঘুরে বেরানোর মজাই আলাদা। আর যদি ভরা পূর্ণিমায় যেতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই, রাতের বেলা সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপে ঘুরে বাড়াবেন আর বাঁচার ইচ্ছেটা বাড়িয়ে নিবেন।



সাইকেল ভাড়া ?

দ্বীপের কয়েক জায়গা বিশেষ করে পশ্চিম বীচ থেকে সাইকেল ভাড়া নেওয়া যায় ঘন্টা প্রতি ৬০-৮০টাকায়। বীচ ধরে ঘুরতে পারবেন মনের সাধ মিটিয়ে।


বিদ্যুৎ সুবিধাঃ



সেন্ট মার্টিনে পিডিবি বা পল্লী-বিদ্যুত এর সংযোগ নাই। পুরোটাই জেনারেটর নির্ভর। রিসোর্ট-হোটেলগুলো সন্ধ্যা থেকে সাধারণত রাত ১০টা-১১টা পর্যন্ত জেনারেটর চালায়। দিনের বেলায় পানির পাম্প ছাড়ার জন্য কিছুটা সময় চালু রাখতে পারে। শীতকালে ফ্যান লাগে না বলে দিনে কারেন্টের অভাব টের পাওয়াও যায় না। সমস্যা হয় মোবাইল, ক্যামেরা ল্যাপটপ এসব চার্জ করা নিয়ে । রাতের বেলা জেটি অর্থাত জাহাজ ঘাটে সারি সারি রেস্টুরেন্টের আলো-ঝলমলে পরিবেশে মনেই হয় না দ্বীপে কারেন্ট নাই। এরা অনেক রাত অবধি জেনারেটর চালু রাখে



সেন্ট মার্টিন’স এ ঘুরতে যাওয়ার জন্যে কিছু টিপসঃ



১. সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকেই, কেয়ারীসহ বেশ কিছু ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে যেতে পারেন।
২. নভেম্বর থেকে মার্চ পযন্ত মাত্র ৪ মাস জাহাজ চলে। অন্য সময় যেতে হলে ট্রলারে করে যেতে হবে।
৪. সাশ্রয়ী দামে থাকতে শুক্রবার-শনিবার দ্বীপে না যাওয়াই ভালো।
৩. সেন্টমার্টিনে এখন অনেক হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ আছে তাই থাকার জায়গার অভাব হয় না। ৫. দ্বীপে সবকিছু বাইরে থেকে যায়, তাই খাবার খরচ তুলনামূলক বেশি।
৬. তিনদিনে জনপ্রতি খরচ হবে ৫-৬ হাজার টাকা। দলবল বড় করে আরো কমে ৩-সাড়ে ৩ হাজার টাকায় ঘুরে আসা যা


সেন্ট মার্টিন’স কিভাবে যাবেনঃ

টেকনাফের জাহাজ ঘাটে গিয়ে আপনাকে সীট্রাকের টিকেট কাটতে হবে। ভাড়া ৪৫০-৫৫০ টাকা (ফেরতসহ)। টেকনাফ হতে সেন্টমার্টিনের দুরত্ব ৯ কিমি। উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যেতে হয় এখানে। শীত মৌসুমে সাগর শান্ত থাকে তাই এই সময় এখানে যাওয়া অনেক বেশি নিরাপদ। এই পর্যটন মৌসুমে এখানে টেকনাফ হতে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত গ্রীন লাইনের ওয়াটার বাস, এল সি কুতুবদিয়া, কাজল, কেয়ারী সিন্দবাদ সহ বেশ কয়েকটি জাহাজ বা সী-ট্রাক চলাচল করে। সকাল ১০ টায় এই নৌযানটি সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এবং বিকাল ৩ টায় ফিরে আসে।ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার থেকে বাসে করে টেকনাফ যাওয়া যাবে। ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়েদাবাদে টেকনাফের বাস পাওয়া যায়। ঈগল, মডার্ন লাইন, এস আলম, শ্যামলী, গ্রীন লাইন ইত্যাদি বাস টেকনাফ যায়।  ১০-১৩ ঘণ্টা লাগে পৌঁছাতে। চট্টগ্রাম ও কক্স-বাজার থেকে নিয়মিত বাস পাওয়া যায় টেকনাফ এর উদ্দেশে। কক্স-বাজার থেকে মাইক্রো বাস ভাড়া করেও টেকনাফ যাওয়া যায়।

এছাড়াও ট্রলার ও স্পীড বোটে করে যাওয়া যায় সেন্ট মার্টিন’স। সী ট্রাক গুলো এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলাচল করে। এর পর বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রশাসন একে চলতে দেয় না। তবে যারা বৈরি মৌসুমে এডভেঞ্চার হিসেবে যেতে চান সেন্টমার্টিন তারা ট্রলার ভাড়া করে যেতে পারেন। তবে এই যাত্রাটি খুব একটা নিরাপদ নয়। সাধারণত দুর্ঘটনা ঘটে না, তবে ঘটে যেতে পারে। তাই সাবধান। কিন্তু উত্তাল সাগরের প্রকৃত রূপ দেখা কিংবা নির্জন দ্বীপে বসে বৃষ্টিস্নান করার লোভ যারা সামলাতে না পারেন তাদের জন্য ট্রলার ছাড়া বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই, ৮০০ টাকায় ট্রলার ভাড়া করা যাবে অথবা প্রতি জন ১০০ টাকা করে ভাড়া দিয়েও যাওয়া যাবে।

কেয়ারী সিন্দবাদ এর যোগযোগ / ফোন নাম্বারঃ ০১৮১৭২১০৪২১, ০৩৪১-৬২৮১২, ৮১২৫৮৮১

সেন্ট মার্টিন’স এ কোথায় থাকবেনঃ


সেন্টমার্টিনের বেশ কিছু হোটেল ও রিসোর্টের নাম ও টেলিফোন নম্বর

ব্লু মেরিনঃ ০১৮১৯০৬৩৪১৮, ০১৭২২৪৭৩৬১৩, ০১৮১৯০৬৩৪২৫, ০২৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১,৯৩৫৯২৩০ (ঢাকা থেকে বুকিং দিতে হবে)
কোরাল ব্লু রিসোর্টঃ ০১৭১৩১৯০০১৩, ০১৭১৩১৯০০০৭


প্রাসাদ প্যারাডাইসঃ ০১৭১৩০৬২৫৬৯

প্যাসিফিক রিসর্টঃ ০১৭৩২৪৩৪২৬৪ (সেন্টমার্টিন), ০১৭১২৬৪৩৬৯৪, ০১৭২০৯৩৯০৯০ (ঢাকা)
হোটেল স্বপ্ন প্রবাল : ০১৮১৪২৭৪৪০৯, ০১৭২২৫৪৫৮৭২ (সেন্টমার্টিন) ০২৮৬১১৪২৮, ০১৭১১-১১০৯১৯ (ঢাকা)
সমুদ্র বিলাস (হুমায়ুন আহমেদের): ০১৮১৩০১৯৮৩৯
সীমানা পেরিয়ে : ০১৮১৯০১৮০২৭, ০১৮১৭০৪২০২০ (সেন্টমার্টিন ), ০১৮১৯৪৬৬০৫৯, ০১৮১৯৪৭৮৪৩৪, ০১৯১১১২১২৯২, ০১৭১১৩৪৪৪৫১ ( ঢাকা) এদের কাছে তাবুও পাওয়া যায়। চাইলে সমুদ্রের একেবারে কাছে তাবু খাটিয়ে দেবে ।
ভাড়াও রিজনেবল। ৫০০ থেকে ৮০০ এর মধ্যে।
নীল দিগন্তে রিসর্ট: ০১৭৩০০৫১০০৪ (সেন্টমার্টিন), ৮৬৫২৩৭৪, ০১৭৩০০৫১০০৫ (ঢাকা)
অবকাশ পর্যটনঃ ০১৭১৩১৪৫৫৮৪, ৯৩৪ ২৩৫১


কোথায় খাবেনঃ

এখানে প্রায় সকল আবাসিক হোটেলের রেস্টুরেন্ট আছে, তাই আপনি চাইলে ওখানে খেয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া সব খাবার হোটেলের বাইরে টেবিলে সাজিয়ে রাখা হরেক রকমের জ্যান্ত মাছ থেকে বেছে নিয়ে অর্ডার দিতে পারবেন। রাতের বেলা বার-বি-কিউ করতে পারবেন, মাছ বাছাই করে ওদের বলে দিলে ওরাই করে দিবে আপনাকে।

source : adarbepari.com